খুব সুন্দর বাসা বোনে বলে এরা তাঁতি পাখি নামেও পরিচিত। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত ও নেপালসহ এশিয়ান দেশগুলোই এদের প্রধান বিচরণ ভূমি। গায়ের রং হলুদ ও খয়েরিতে মেশানো, যা দেখতে অনেকটা চড়ুই পাখির মতো। দলবদ্ধভাবে এদের বসবাস। এদের বাসা বেশ অদ্ভুত ধরনের, অনেকটা উলটানো কলসির মতো, যার প্রবেশপথ নিচের দিকে।
মূলত ফুলের মধু রেণু, শস্যদানা, ছোট পোকা, ঘাস, বীজ, ভাত ও ছোট উদ্ভিদের পাতা খেয়ে বেঁচে থাকে। নারকেল, খেজুর বা তাল জাতীয় গাছে বাসা বাঁধে; তবে কুল, বাবলা গাছেও এদের বাসা দেখা যায়। এরা এদের বাসা খুব পরিষ্কার ও পরিপাটি রাখে। প্রচলিত আছে—বাবুই পাখি তাদের বাসাটিকে সাজাতে ও সন্ধ্যায় আলো জ্বালাতে জোনাকি পোকা ধরে এনে বাসায় গুঁজে দেয়।
খেজুর ও তাল গাছ কমে যাওয়ার কারণে আশ্রয়হীন হয়ে বাবুই পাখি আজ বিলুপ্তির মুখে। তাছাড়া ক্রমবর্ধমান ই-প্রযুক্তি, পরিবেশদূষণ, মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক, রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে বাবুই পাখির খাবার ছোট ছোট পোকা-মাকড়ও কমে গেছে। যার ফলে এদের খাদ্যসংকটও একটা মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া বিষাক্ত কীটনাশক ও শস্যদানা খেয়ে অনেক বাবুই পাখির অকালে মৃত্যু ঘটছে। কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে এদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।